,

হবিগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতে পেন্ডিং রয়েছে ৫০৩৬টি মামলা

হবিগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে তথ্য প্রকাশ

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী’র উদ্যোগে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের কনফারেন্স কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ শে মার্চ উক্ত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স এর ফোকাল পার্সন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছিফাত উল্লাহ এর উপস্থাপনা ও সঞ্চালনায় মহাগ্রন্থ আল কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।
পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে (ক) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় তদন্তকালীন দীর্ঘ সূত্রিতা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ; (খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সূত্রিতা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ছিলো মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সম্মেলনে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসমূহে পেন্ডিং মামলার সংখ্যা ও হবিগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় তদন্তাধীন মামলার সংপ্তি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ জাহিদুল হক, হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল হক, বিজ্ঞ পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসীর বিভিন্ন দিকসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার তদন্ত ও মামলার বিচার নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের লক্ষ্যে আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন দায়-দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হবিগঞ্জ জেলার সকল অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, অফিসার ইনচার্জ ডিবি, পিবিআই’র প্রতিনিধি, সিআইডি প্রতিনিধি, জেল সুপার ও প্রবেশন অফিসার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ বিভিন্ন থানা হতে আগত অফিসার ইনচার্জগণের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত আদালতে দাখিল সহ অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম, আবদুল আলীম, রিয়াজ উদ্দিন ও সোহেল ভুইয়া উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শামসুল হক, ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল, হবিগঞ্জের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার ও আরএমও ডাঃ মোমিন উদ্দিন চৌধুরী, হবিগঞ্জ বারের সভাপতি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল মনসুর, হবিগঞ্জ বারের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মোছাব্বির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তফা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন মামলার তদন্ত ও প্রসেস জারীতে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে সকল থানার ওসিদের নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জখমী সনদ ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রেরণের জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রতিবেদন হতে দেখা যায়, হবিগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, ২ ও ৩-এ পেন্ডিং মামলার সংখ্যা যথাক্রমে ১৪৫৭, ১৯৬০ ও ১৬১৯টি। হবিগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে সর্বমোট ১১০টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। পরিশেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার কার্য সমাপ্ত ঘোষনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর